Namajer Foroj o Wajib-নামাজের ফরজ এবং ওয়াজিব

Namajer Foroj o Wajib-



নামাজের ফরজ এবং ওয়াজিব



নামাযের ফরজসমূহ


নামাযের বাইরে ও ভেতরে মোট ১৪টি ফরজ আছে। এগুলোর কোন একটি ছুটে গেলে বা বাদ পড়লে নামাযই হবে না। এ ফরজগুলোকে দুভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি হলো : আহকাম বা শর্ত। এগুলো নামায আরম্ভ করার আগেই সম্পন্ন করা জরুরি, অপরটি হলো আরকান বা সিফাত। এগুলো নামাযের ভেতরে আদায় করতে হয়।




নামাযের আহকাম বা শর্ত মোট সাতটি। তা নিম্নে দেয়া হলো:


১। শরীর পাক হওয়া:  হদছ ও নাজাস হতে মুছল্লীর শরীরকে পবিত্র করা। অর্থাৎ গোসলের প্রয়োজন থাকলে  গোসল, অন্যথায় অযু করা এবং শরীরের কোথাও নাজাছাত জিনিস থাকলে তা ধুইয়ে পরিষ্কার করা।


২। কাপড় পাক হওয়া:  যে কাপড় পরিধান করে নামায পড়বে তাতে যদি কোন  নাজাসাত বা নাপাকী থাকে, তবে তা ধুইয়ে পাক করে নেবে।


৩। নামাযের জায়গা পাক : যে জায়গায় (বিছানায়, মাটিতে বা কাপড়ের উপর) নামায পড়বে তাও পবিত্র হতে হবে।


৪। সতর ঢাকা:  পুরুষের সতর নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত; কিন্তু কাপড় থাকলে পায়জামা, লুঙ্গী, কোর্তা বা পাঞ্জারী, টুপী ইত্যাদি পরে নামায পড়বে, এটা সুন্নাত। স্ত্রীলোকের সতর হাতের কব্জি, পায়ের পাতা ও মুখমণ্ডল ব্যতীত মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীর।


৫। কোমুখী হওয়া: মানুষ পৃথিবীর যে স্থানেই থাকুক না কেন কাবা শরীফের দিকে ফিরেই নামায পড়তে হবে। যারা এমন জায়গায় আছে যেখান থেকে কাবা শরীফের ঘর দেখা যায়, তাদের ঠিক ঘরের দিকে ফিরে নামায পড়তে হবে। তাদের " জন্য পূর্ব-পশ্চিম বা উত্তর-দক্ষিণের কোন কথাই নেই। কিন্তু যারা দূরবর্তী স্থানে আছে।  তারা কাবা শরীফের গৃহ যে দিকে আছে সে দিকে মুখ করে নামায পড়বে। কাবা শরীফের পূর্ব দিকের লোক পশ্চিম দিকে এবং উত্তর দিকের লোক দক্ষিণ দিকে, পশ্চিম দিকের লোক পূর্ব দিকে এবং দক্ষিণ দিকের লোক উত্তর দিকে মুখ করে নামায পড়বে। মোট কথা, পৃথিবীর যে কোন স্থানে যে কেউ বাস করুক না কেন তাকে কাবা শরীফের দিকে মুখ করে নামায পড়তে হবে। যদি কেউ নৌকায়, জাহাজে বা রেলগাড়িতে কেবলা ঠিক করে কেবলার দিকে মুখ করে নামায পড়তে দাঁড়ায় এবং পরে নৌকা, গাড়ি, জাহাজ ইত্যাদি ঘুরে যায়, তবে তাকে তৎক্ষণাৎ ঘুরে কেবলার দিকে মুখ করে দাঁড়াতে হবে। অন্যথায় তার নামায হবে না। অবশ্য, কাবা শরীফের ভেতরে নামায পড়লে যে  দিকে ইচ্ছা সে দিকে ফিরেই নামায পড়তে পারবে। সেখানে সব দিকই কেবলা।


৬। ওয়াক্ত অনুসারে নামায পড়া: ওয়াক্ত হলে নামায পড়বে। ওয়াক্ত হবার পূর্বে নামায পড়লে নামায হবে না।


৭। নামাযের নিয়্যত করা:  যে ব্যক্তি নামায পড়বে, সে মনে মনে চিন্তা করে খেয়াল করে নেবে যে, আমি অমুক ওয়াক্তের অমুক নামায পড়ছি। এরূপ খেয়াল না হলে নামায হবে না যদিও মুখে নিয়্যতের শব্দ উচ্চারণ করে। নিয়্যত তাকবীরে তাহরীমার সাথে সাথে করতে হয় । ইমামের পেছনে একতেদার নিয়্যত আলাদাভাবে করতে হয় । এটা একটি পৃথক ফরজ। এটা না হলে নামাযই হবে না।




নামাযের আরকান বা রোকন বা সিফত ৭টি, নিম্নে তা দেয়া হলো:


১। তাকবীরে তাহরীমা বলা: অর্থাৎ নামায শুরুকালে নিয়্যাতের সাথে সাথে “আল্লাহু আকবার” বলা ।


২। কেয়াম করা: অর্থাৎ সক্ষম ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামায পড়ৰে । দাঁড়াবার শক্তি থাকা  অবস্থায় যদি কোন পুরুষ ও নারী বসে নামায পড়ে তাহলে কারোই নামায় হবে না। অবশ্য দাঁড়াতে অক্ষম হলে বসে, তাতে অক্ষম হলে শুয়েও নামায পড়তে হবে ।


৩। কেরাআত পড়া: কুরআন শরীফ থেকে একটি পূর্ণ সূরা বা ছোট তিন আয়াত কিংবা বড় একটি আয়াত পাঠ করা। তবে শুধু সূরা ফাতেহা পড়লেও নামায হয়ে যাবে, কিন্তু এর সাথে কুরআনের আরো কিছু অংশ মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। আর ওয়াজির তরক করলে ছোহ্ সেজদা দিতে হয়।


৪। রুকূ করা: আল্লাহ্ তাআলার সামনে বিনয় প্রকাশের উদ্দেশ্যে স্বীয় মস্তক অবনত করে হাতের কর দ্বারা হাঁটু ধরে অর্ধনমিত হওয়া।


৫। সেজদা করা: অর্থাৎ চরম বিনয় প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে কপাল, এরূপে দুই হাত, দুই হাঁটু ও পাক জমিনে ঠেকানো।


৬। কাদায়ে আখীরা বা শেষ বৈঠক: নামাযের শেষ ভাগে আল্লাহর সামনে তাশাহহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পরিমাণ সময় বসা।


৭। কোন কার্য দ্বারা নামায হতে বেরিয়ে আসা: অর্থাৎ কোন কিছু করে বা বলে নামায শেষ করে চলে আসা বা বের হওয়া। কিন্তু সালাম দ্বারা নামায শেষ করা ওয়াজিব। যদিও অন্য কাজ করলেও ফরজ আদায় হয়ে যাবে।






নামাযের ওয়াজিবসমূহ

নামাযের মধ্যে ১২টি কাজ ওয়াজিব । নিম্নে তা দেয়া হলো:


১। ফরজ নামাযে প্রথম দুই রাকআত এবং বিতর, নফল ও সুন্নাতের সব  রাকআতে সূরা ফাতেহা পড়া। অন্যান্য ইমামগণের মতে এটা ফরজ।


২। সূরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা বা ছোট তিনটি আয়াত বা বড় একটি আয়াত মিলিয়ে পাঠ করা ।


৩। কেরাআত প্রথম দু রাক আতে পড়া।


৪। নামাযের প্রত্যেকটি ফরজ নিজ নিজ স্থানে আদায় করা। অর্থাৎ আগেরটি আগে ও পরেরটি পরে আদায় করা।


৫। প্রথমে সূরা ফাতেহা পড়া, অতঃপর অন্য সূরা বা আয়াত পড়া, তৎপর রুকূ, তারপর সেজদা করা।


৬। দু রাকআত নামায পূর্ণ করে তাশাহহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু পড়ার জন্য বসা।


৭। তা দীলে আরকান অর্থাৎ রুকূ সেজদা ধীর-স্থিরভাবে আদায় করা। অর্থাৎ রুকূ হতে সোজা হয়ে দাঁডানো এবং সেজদা হতে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে বসা ইত্যদি।


৮। বিতর নামাযে দোয়ায়ে কুনুত পড়া। 


৯। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে নামাযে সালাম ফিরানো।


১০। জেহরী নামাযে প্রথম দুরাকআতের মধ্যে ইমামের জোরে কেরাআত পড়া এবং ছিররী নামাযের মধ্যে ইমাম এবং মোক্তাদির চুপে চুপে পড়া।


১১। সেজদার মধ্যে উভয় হাত এবং হাঁটু মাটিতে রাখা, (ফজর, মাগরিব ও এশা এবং জুমুআ, ঈদ ও তারাবীহ্ হলো জেহরী নামায; এছাড়া দিবাভাগের সব নামায ছিররী নামায।


১২। ঈদের নামাযসমূহে অতিরিক্ত ছয়টি তকবীর বলা।


















--------


tags:


নামাজের ফরজসমূহ, নামাযের ফরজসমূহ, নামাজের ফরজ ১৩ টি, নামাজের ফরজ কতটি, নামাজের ফরজ এবং ওয়াজিব, নামাজের ওয়াজিবসমুহ, নামাজের মধ্যে ১৪টি কাজ ওয়াজিব, নামাজের ওয়াজিব গুলো কি কি, নামাজের রুকন কয়টি, নামাযের ফরজ ওয়াজিব জানতে চাই, নামাজের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি, নামাজের ওয়াজিব 14 টি, নামাজের ওয়াজিব ১৪টি, নামাজের ফরজ কি কি, নামাজের ১৩ টি ফরজ, নামাজের আহকাম, নামাজের ফরজ, নামাজের ফরজ ও ওয়াজিব সমূহ, নামাজের ফরজ ১৪টি, নামাজের ভিতর এবং বাহিরের ফরজসমূহ।, নামাযের ফরজ, 


namazer wajib, namajer foroj o wajib, namazer wajib 14, namajer wajib, salat and namazer wajib, namajer wajib 14, bangla new namazer wajib, namajer foroj bangla, namajer foroj koiti o ki ki, namajer foroj, namazer foroz, namajer wajib bangla, namajer wajib somuho, namajer wajib samuho, namajer foroj ki ki, namazer foroz ki ki, namajer bahire o vitore 13 faroj, namajer oagib, namajer por dua, namazer wajib smuho, [bangla waz] namazer wajib