বঙ্গোপসাগরে তৈরি সুপার সাইক্লোন ইয়াসের প্রভাবের কারণে, কপোতাক্ষ এবং কোলপেটুয়া নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১১ টি পয়েন্ট বাঁধ ভেঙে গেছে এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনির ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অসংখ্য চিংড়ি খামার এবং মাছের জলাশয় ভেসে গেছে।
বেলা এগারটার দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসার জলোচ্ছ্বাসটি সাতক্ষীরার উপকূলে আঘাত হানে। জোয়ার চলছিল বিকাল ৩ টা পর্যন্ত। ফলস্বরূপ, কুড়িকোনিয়া, হরিশখালী, কুরিকুনিয়ার লঞ্চঘাট এলাকা, আনুলিয়া ইউনিয়নের নকলা,সুভদ্রাকাটি, চাকলা, দিঘলার রাইট, এবং শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নেবুবুনিয়া, আসপসুনি উপজেলার গাবুড়ার বেশ কয়েকটি এলাকা বাঁধ প্লাবিত হয়েছে।
এ ছাড়া গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনিমুখা ও নাপিতখালী বন্ধগুলি বন্যার সাথে সাথে জলরাশিতে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে এবং চাঁদনিমুখা, নাপিতখালী ও মোল্লাপাড়া নং ৩ প্লাবিত হয়েছে। কোপোটক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর শতাধিক পয়েন্টে ভয়াবহ ফাটল ও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বুড়িগুয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ, পদ্মপুকুর।
এদিকে, কালীগঞ্জ উপজেলার জলোচ্ছ্বাসের জলের স্রোত কালীগঞ্জ উপজেলার হাডতদা লাকা উপচে পড়ে ও লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। রাস্তাঘাট এবং ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছিল। এ ছাড়া পাঁচ শতাধিক ফিশিং গ্রাউন্ড ভেসে গেছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে শ্যামনগর ও আশাশুনির কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ পয়েন্ট ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কোপোটক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর জলের স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট উপরে উঠে গেছে এবং বাঁধগুলি ১৫-২ ০ জায়গায় উপচে পড়েছে এবং লোকালয়ে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বেড়িবাঁধের কত ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা যায় না। পরে মাটিতে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যেতে পারে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ইয়াসের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাঁধ ভেঙে নদী প্লাবনের কারণে গাবুরা ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া গ্রামসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চল জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। তবে গ্রামবাসীরা এখন নিরাপদ।
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2024 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.