প্রধানমন্ত্রী করোনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ৩.৭ মিলিয়ন পরিবারকে সহায়তা প্রদান করবেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান করোনভাইরাস পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত প্রায় সাড়ে ৩ মিলিয়ন স্বল্প আয়ের পরিবার এবং সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত প্রায় ১ মিলিয়ন কৃষকসহ ৩.৭ মিলিয়ন পরিবারকে নগদ সহায়তা প্রদান করবেন।


স্বল্প আয়ের মানুষকে তিনি প্রতি পরিবার প্রতি আড়াই হাজার টাকা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবারের প্রতি ৫০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেবেন। এর জন্য সরকার ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় করবে।


প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব  বলেন, "প্রধানমন্ত্রী করোনার জন্য মাথাপিছু ২,৫০০ এবং ৫,০০০ টাকা  এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ  ৩.৭  মিলিয়ন পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন।"


সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দেশের ৩৬ টি জেলার ৩০,৯৪,২৪৯ হেক্টর ফসলের জমির মধ্যে ১০,৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ৪৯,৩২৭ হেক্টর ফসলি জমি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাতাস, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৪ এপ্রিল। ১ লক্ষ কৃষক এটি দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে।


কোভিড -১৯ এর ফলস্বরূপ বেকার ও আক্রান্ত কৃষকদের জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা হারে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর জন্য ৫০ কোটি টাকা লাগবে। 


কৃষি মন্ত্রক আক্রান্ত কৃষকদের (নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং মোবাইল নম্বর) তালিকা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই তালিকাটি চূড়ান্ত করা হলে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।


সূত্র আরও বলেছে যে, গত ২০১২-২০১৮ অর্থবছরে মুজিবের করোনায় আক্রান্ত ৫ মিলিয়ন পরিবারকে চেক করে বাছাই করে প্রায় ৩৫ লক্ষ পরিবারকে নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল। ১২ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যক্ষ ক্ষতিগ্রস্থদের নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য জিটিপি ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন।


এই বছর নগদ সহায়তার বিধানটি অর্থ বিভাগের বাজেটের অধীনে করোনার ভাইরাস আক্রমণের তহবিল এর অধীনে ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে পূরণ করা যেতে পারে।


পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার আলোকে যদি প্রস্তাবটি বিবেচনা করা হয়, খুব অল্প সময়ের মধ্যে অর্থ বিভাগের ডাটাবেজে সংরক্ষিত তালিকার অন্তর্ভুক্ত তালিকাভুক্তদের সরাসরি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে।


চলতি অর্থবছর ২০২০-২০২১ এর ১৪ ই এপ্রিল থেকে কোভিড -১৯ এর বিস্তার রোধে সরকার কৃষক, শ্রমিক, গৃহকর্মী  এবং অন্যান্য পেশাকে পুনরায় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৫০০ টাকা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।