২৭ শে মার্চ বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

স্বাধীনতার স্বর্ণজয়ন্তী, মুজিবের বছর, শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক চুক্তির পঞ্চাশতম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে নরেন্দ্র মোদী আগামী ২৬ ও ২৭ মার্চ  শে মার্চ দুদিনের সফরে বাংলাদেশে আসবেন। বাংলাদেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বর্ণজয়ন্তী, মুজিবের বছর অর্থাৎ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক চুক্তির পঞ্চাশতম বার্ষিকী উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।


 সেই উপলক্ষে মোদি  ২৬ শে মার্চ ঢাকায় আসবেন। জানা গেছে যে মোদী তার দুই দিনের মেয়াদের প্রথম দিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রধান অতিথি থাকবেন। ২৭  শে মার্চ সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একান্ত বৈঠক করবেন। দুই দেশের কূটনৈতিক চেনাশোনাগুলি মনে করে যে বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসতে পারে।


রাজধানী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বৈঠকে সব দ্বিপক্ষীয় বিষয়ই উঠে আসবে। দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ এবং তিস্তা চুক্তি নিয়েও আলোচনা করবেন। বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, মোমেন জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বৈঠকের রূপরেখা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিবদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। ত্রিপুরার ফেনী নদীর উপর এই দীর্ঘ সেতুটি একদিকে ত্রিপুরার সাবরুম এবং অন্যদিকে বাংলাদেশের রামগড়কে সংযুক্ত করবে। এই সেতুটিকে ভারতের লুক ইস্ট পলিসির পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্যের অন্যতম ধাপ হিসাবে দেখা হয়। তাই অবহিত মহল মনে করেন যে আসন্ন বাংলাদেশ সফরের সময় আসন্ন মোদী-হাসিনা বৈঠকে যা আলোচনা হয়েছে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।