কালবৈশাখী ঝড়ে তিন জেলায় ১৩ জন নিহত

মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে তিন জেলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে গাইবান্ধায় ১০ জন, ফরিদপুরে দুজন ও কুষ্টিয়ায় একজন রয়েছেন। এছাড়াও ঝড়ের কবলে গাছ পড়ে প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। উদীয়মান ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে।


রবিবার বিকেলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে। রবিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গায় গাছ কাটা এবং অটোরিকশা উল্টে মহিলা ও শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।


তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।


গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুর রফিউল আলম জানান, ঝড়ের সময় ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া এলাকায় একটি ব্যাটারি চালিত অটো উল্টে যায়। অন্য ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়নি।


দুপুর ২ টার পরে গাইবান্ধার উত্তর-পশ্চিম আকাশে কালো মেঘের সাথে ঝড় শুরু হয়েছিল। প্রায় এক ঘণ্টা অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলায় ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। 


গাইবান্ধার চরে ভুট্টার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। পাঁচটি উপজেলার কমপক্ষে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা, ধান ও মরিচ গাছগুলি ঝড়ো হাওয়ার কারণে ভেঙে পড়েছে। ফলস্বরূপ, কৃষকরা এই উদীয়মান ফসল ঘরে তুলতে পারবেন না।