শেয়ার বাজারে কিভাবে বিনিয়োগ করব?-invest in the stock market

শেয়ার বাজারে কীভাবে বিনিয়োগ করবেন?


টিপস:১

আপনি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে আপনাকে ধাপে ধাপে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে। নতুনদের জন্য নিচে একটি সহজ ব্যাখ্যা দেওয়া হল:


১. একটি বিও (BO) অ্যাকাউন্ট খুলুন

বিও (বেনিফিসিয়ারি ওনার) অ্যাকাউন্ট কী?

এটি শেয়ার বাজারে আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট।

এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি শেয়ার কিনতে এবং বিক্রি করতে পারবেন।


কোথায় খুলবেন?

যেকোনো ব্রোকার হাউস (যেমন: লংকাবাংলা, আইডিএলসি, ইউসিবি, ইবিএল সিকিউরিটিজ)

অথবা আপনি এটি ব্যাংক-ভিত্তিক ট্রেডিং পরিষেবা থেকেও খুলতে পারেন


প্রয়োজনীয় নথি:

এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র)

পাসপোর্ট সাইজের ছবি

ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেক কপি বা স্টেটমেন্ট

টিআইএন সার্টিফিকেট (বাধ্যতামূলক নয়, তবে থাকা ভালো)


২. ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করুন

একই সাথে, আপনি একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট পাবেন, যার মাধ্যমে আপনি শেয়ার কিনতে এবং বিক্রি করতে পারবেন।

অনেক ব্রোকার হাউস অনলাইন ট্রেডিং বা মোবাইল অ্যাপ সুবিধা প্রদান করে।


৩. অ্যাপ বা ডেস্কে লগ ইন করে শেয়ার কিনুন এবং বিক্রি করুন

কিভাবে করবেন:

আপনার অ্যাপে লগইন করুন (যেমন: LankaBangla Invest, DSE Mobile App)

মার্কেট ওয়াচ দেখে ভালো কোম্পানির শেয়ার নির্বাচন করুন

"Buy" বিকল্প থেকে নির্দিষ্ট মূল্য এবং পরিমাণ লিখে অর্ডার করুন


৪. শেয়ারের ধরণ বুঝুন

প্রকার ব্যাখ্যা করা হয়েছে

প্রাথমিক বাজার (আইপিও) Primary Market (IPO) নতুন কোম্পানি বাজারে আসে, আপনাকে প্রথমে আবেদন করে কিনতে হবে

সেকেন্ডারি বাজারে (Secondary Market) প্রতিদিন লেনদেন হয় (ডিএসই বা সিএসইতে= DSE বা CSE তে)


৫. ঝুঁকি এবং লাভ সম্পর্কে সচেতন থাকুন

বিষয় তথ্য

লাভ :যদি কোম্পানি ভালো করে, শেয়ারের দাম বাড়ে, লাভ হয়

ক্ষতি: যদি কোম্পানির অবস্থা খারাপ হয়, দাম পড়ে

বুদ্ধিমত্তা: নিয়মিত খবর পড়ুন, আর্থিক প্রতিবেদন দেখুন, কোনও গুজবে বিনিয়োগ করবেন না


নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য টিপস:

অল্প পরিমাণ অর্থ দিয়ে শুরু করুন প্রথমে

একটি ভালো কোম্পানি বেছে নিন (Blue Chip)

নিয়মিত ডিএসই নিউজ, আর্থিক প্রতিবেদন (DSE News, Financial Reports) দেখুন

অন্যের কথায় নয়, নিজেই শিখুন এবং সিদ্ধান্ত নিন



টিপস:২

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, যেখানে আপনি শেয়ার কিনতে এবং বিক্রি করতে পারবেন। এরপর, আপনি আপনার পছন্দের কোম্পানিতে গবেষণা এবং বিনিয়োগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি একজন আর্থিক উপদেষ্টার সাহায্য নিতে পারেন।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের বিস্তারিত পদক্ষেপগুলি নীচে দেওয়া হল:

১. একটি ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট খুলুন:

একটি অনলাইন ব্রোকারেজ প্ল্যাটফর্ম বা একটি ট্রেডিং কোম্পানিতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদান করুন।

আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিবরণ যোগ করুন।

২. গবেষণা:

আপনি যে কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করতে চান তাদের আর্থিক বিবৃতি, বাজারের অবস্থান এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা সম্পর্কে গবেষণা করুন।

বিভিন্ন আর্থিক ওয়েবসাইট, ম্যাগাজিন এবং অন্যান্য সংস্থান থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

শেয়ার বাজারের প্রবণতা এবং বাজারের অবস্থা সম্পর্কে আপডেট থাকুন।

৩. একটি বিনিয়োগ কৌশল তৈরি করুন:

আপনার ঝুঁকি সহনশীলতা, বিনিয়োগের লক্ষ্য এবং সময়সীমার উপর ভিত্তি করে একটি বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি করুন।

আপনার পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করুন, যাতে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা যায়।

দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিনিয়োগ করুন এবং স্বল্পমেয়াদী বাজারের ওঠানামা দেখে ভয় পাবেন না।


৪. বিনিয়োগ:

আপনার পছন্দের স্টক বা মিউচুয়াল ফান্ড কিনুন।

আপনার ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন এবং ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।


৫. নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: নিয়মিত আপনার বিনিয়োগের কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করুন, প্রয়োজনে আপনার কৌশল সামঞ্জস্য করুন এবং আপনার বিনিয়োগ পোর্টফোলিও সম্পর্কে অবগত থাকুন।


অন্যান্য টিপস:

শেয়ার বাজার একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ, তাই আপনার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং কেবল সেই অর্থই বিনিয়োগ করুন যা আপনি হারাতে প্রস্তুত।

একজন আর্থিক উপদেষ্টার কাছ থেকে পেশাদার পরামর্শ নিন, বিশেষ করে যদি আপনি স্টক বাজারে নতুন হন।

শেয়ার বাজার সম্পর্কে আরও জানতে বিভিন্ন শিক্ষামূলক সংস্থান ব্যবহার করুন।

মনে রাখবেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া এবং এর জন্য সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন।